শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
রংপুর নগরীর বিভিন্ন চেকপোস্টে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অবস্থান
দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
হীমেল মিত্র অপু
স্টাফ রিপোর্টার
(০২.০৭.২১)
কোভিড-১৯ ঊর্দ্বগতি রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্ম লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে গতদিনের মতো আজও মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। তারা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন। গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু ও ৮ সহস্রাধিক ব্যক্তির আক্রান্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই তথ্যে জনমনে শঙ্কা বেড়েছে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ (২ জুলাই) শুক্রবার দ্বিতীয় দিন চলছে। বিধিনিষেধ কার্যকরে রংপুর মহানগরে বসানো হয়েছে ২০টি চেকপোস্ট।
আজ দ্বিতীয় দিনে (২ জুলাই) শুক্রবার বৃষ্টির মধ্যেও বন্ধের দিনে সকাল থেকে রংপুর নগরে র্যাব-পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া হাটে-বাজার, দোকানপাট ও সড়কে উৎসুক মানুষের অহেতুক ঘোরাঘুরি বন্ধে টহল বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসমাগম ঠেকাতে মাইকিং করে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। লকডাউনে নগরের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। চেকপোষ্ট থেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
বৃষ্টিকেও উপেক্ষা করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের মডার্ণ মোড়, পার্কের মোড়, লালবাগ, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড়, পায়রা চত্বরসহ রংপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে লকডাউন বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব মাঠে কাজ করছে।
নগরে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত ওষুধ, হোটেল, রেস্তোরা, খাদ্য সামগ্রীর দোকান খোলা রয়েছে। চলাচল করছে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যানবাহন। তবে অলিগলিতে, মোড়ে মোড়ে ও বাজারে মানুষের অহেতুক ঘোরাফেরা ও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কেউবা চেকপোষ্ট এলাকায় লকডাউনের চিত্র দেখতে এসে প্রশাসনের প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজনকে বিভিন্ন সড়কে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে ছাড়ছে ট্রাফিক পুলিশ। সীমিত লকডাউনে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চলতে দেওয়া হলেও এখন তাও চলতে দেওয়া হচ্ছে না। রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। আঞ্চলিক সড়কগুলোতে নেই পরিবহনের চাপ। তবে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ হালকা যানবাহন চলাচল করছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে রংপুর নগরে ২ পাল্টুন বিজিবি ৪টি ভাগে বিভক্ত হয়ে টহল দিচ্ছে। রংপুরের ৮ উপজেলায় আটটি এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম কাজ করছে। এছাড়া পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিংসহ টহল অব্যহত রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, রংপুর নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে প্রতিটি চেকপোস্টে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।